কেরানীগঞ্জে জমে উঠেছে শীতের পিঠার পসরা

কেরানীগঞ্জে জমে উঠেছে শীতের পিঠার পসরা

মো.শাহিন বিশেষ  প্রতিনিধি

শীতের আমেজে নানান ধরনের ধোঁয়া উঠা গরম গরম পিঠায় জমে উঠেছে কেরানীগঞ্জের  ফুটপাত, সড়ক-মহাসড়কের পাশের পিঠার দোকানগুলো। কনকনে শীতে ঠাণ্ডা হাতে গরম গরম পিঠা-পুলিতে জমেছে আড্ডা।পিঠা বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্যের অন্যতম একটি বাহক।তবে শীত এলেই পিঠাপুলি উম্মাদনা বহুগুন বেড়ে যায়।

কেরানীগঞ্জে শীত যতই বাড়ছে, ততই  বেড়ে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতাদের বেচাকেনা। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা ও বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত  শীতের পিঠার জন্য বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ ভিড় করছেন পিঠার দোকানগুলিতে।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  ছোট-ছোট বাজার গুলোতে ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতারা শীতের পিঠা নিয়ে বসেছেন।এবার বিক্রেতারা ভাপাপিঠা, চিতইপিঠা, পুলীপিঠা, ঝাল পিঠা সহ বিভিন্ন রকমের পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন। বাসা বাড়িতে মায়েরা ও নববধূরা বিভিন্ন রকমের পিঠা, পায়েস তৈরিতে সময় পার করছেন। গ্রামের গ্রামের আত্মীয়-স্বজনে মধ্যে চলছে শীতের পিঠার দাওয়াত। 

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, রিকশাচালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে চাকরিজীবী, ছাত্র–ছাত্রী থেকে শিক্ষক, শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ—সবাই ক্রেতা। চুলার পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে গরম-গরম পিঠা খাওয়ার লোক যেমন আছে, তেমনি অফিসফেরত বা কাজ শেষ করে  অনেকে ঠোঙায় পুরে ‍পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।

ভাপাপিঠা, ঝাল পিঠা ও চিতইপিঠা এবার বাজারে বেশী নজরকারে, আব্দুলাপুরের পিঠা বিক্রেতা আক্কাস  মিয়া জানান,  আমরা প্রতি বছরই কার্তিক থেকে ফাগুন মাসের শেষ পর্যন্ত শীতের সময় পিঠা নিয়ে বসি। প্রতিদিন  প্রায় ৫শত টাকা আয় করে ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভালই আছি। 

হাফিজ উদ্দিন  নামে আরেক  এক বিক্রেতা বলেন , সারাবছরের তুলনায় শীতে পিঠা বিক্রি বেশি হয়।তাই প্রতিবছর শীত আসলে  আমি  এই  ব্যবসা শুরু করি।  প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই  পিঠা কিনতে ভিড় করেন সবাই। দোকানে ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা, চিতই ৫ টাকা, ডিম চিতই ১৫ টাকা, ডিম পিঠা ১০ টাকায় দরে বিক্রি করি । শীতকালীন পিঠা বিক্রি করে ভালোই ইনকাম হচ্ছে। 

রফিকুল হাসান নামে এক চাকরিজীবী বলেন, পেশাগত কারণে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায়  থাকতে হয়। তাই মায়ের হাতে পিঠা খাওয়া হয় না। ফলে রাস্তার পাশের দোকানেই শীতের পিঠার স্বাদ নিতে হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন